LIVE FIFA WORL CUP 2022

Monday, June 30, 2014

গ্লোবাল জিহাদ বনাম AQ এবং ISIS এর সম্পর্ক

(ফেসবুকের একটি পেজ ইসলামিক স্টেট অব ইণ্ডিয়া এণ্ড বাংলাদেশ - isib হতে সংগ্রহীত)

গ্লোবাল জিহাদের কান্ডারী যে আল কাইদাতুল জিহাদ সে ব্যাপারে কারো কোন সন্দেহ নেই, আশা করি। তবে দাওলাতুল ইসলামিয়াহকে ছাড়াও কাইদাতুল জিহাদ চলতে পারে কিন্তু কাইদাতুল জিহাদকে ছাড়া কখনোই দাওলাতুল ইসলামিয়াহ প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব ছিল না।

ইমারাতুল ইসলামিয়াহ আফগানিস্তানের সাথে যখন কাইদাতুল জিহাদ মিশে যায়, তখন থেকেই গ্লোবাল জিহাদের সর্বোচ্চ পদে অধিষ্ঠিত হন মুল্লাহ মু্হাম্মাদ উমার (হাফিদাহুল্লাহ)। বিশ্বের সকল মুজাহিদরা শায়খ উসামা ইবন লাদিনকে (রাহিমাহুল্লাহ) তাদের গুরু মানে, সেই শায়খ উসামা নিজেই মুল্লাহ উমারকে বা’য়াহ দেন। যদিও

তা খলিফাকে দেয়া বা’য়াহ ছিল না, ছিল আমীর হিসেবে, শাসক হিসেবে তার প্রতি অনুগত হওয়ার বা’য়াহ। এর অর্থ কাইদাতুল জিহাদের প্রতি যাদের বা’য়াহ আছে, সকলেই মুল্লাহ উমারের বা’য়াহর অধীনে।

২০০১ এ মার্কিন আগ্রাসনের পর কাইদাতুল জিহাদ আফগানে কেন্দ্রীভূত না থেকে মুসলিম বিশ্বে ছড়িয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। পাকিস্তান, ইয়ামান এবং ইরাকেই প্রথমত কাইদাতুল জিহাদের নেতারা ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে এবং দাওয়াহ’র কাজ চালাতে থাকে। পরবর্তিতে এই দাওয়াহ’র ফসলই হল আজকের AQIM, AQAP, AQI (ISIS), TTP, Ash-Shabab, Ansarush Sariah, Ansarul Baitul Mukaddas, Boko Hram, JN etc.

ইরাকের দলটি প্রথমত ২০০৩ এ মার্কিন আগ্রসনের পরই খুব কম লোকজন নিয়ে যাত্রা শুরু করে। ইরাকি লোকজন বিভিন্ন সময়ে কাইদাতুল জিহাদকে ঠকিয়েছে। বারবার অন্যান্যদের কাছে ঠকে কাইদাতুল জিহাদে ফিরে, আবারো মুখ ফিরিয়ে নেয়। AQI ব্যাপক ফিদায়ী হামলা চালায় রাফিজী শিয়াদের এলাকায়, উপাসনালয়ে, সরকারি প্রতিষ্ঠানে, মার্কিন সেনাদের উপর। আবু মুসাব আল যারক্বাওয়ী (রহ) এবং উমার আল বাগদাদী আল কুরাইশীর (রহ) [যার প্রশংসা ইমাম আনোয়ার আল আওলাকি (রহ ) অনেকবার করেছিলেন] শাহদাহ’র (ইনশা’আল্লাহ) পর আবু বকর আল বাগদাদী আল কুরাইশী (হাফিদাহুল্লাহ) AQI এর আমীর হন। AQI-ই পরবর্তীতে দাওলাতুল ইসলামিয়াহ (ISI > ISIS) –এ রূপ নেয়, যার প্রতি কাইদাতুল জিহাদের ছিল পূর্ণ সমর্থন এবং সহযোগিতা।

২০১১ ‘র শেষ দিকে যখন কুফফার নুসাইরী বাশার আল আসাদ সিরিয়াতে আহলুস সুন্নাহর উপর অকথ্য নির্যাতন, হত্যাযজ্ঞ শুরু করল, তখন কাইদাতুল জিহাদ, দাওলাতুল ইসলামকে সিরিয়াতে বাহিনী পাঠানোর নির্দেশ দেয় এবং নিজেরাও কাইদাতুল জিহাদের বিভিন্ন শাখা থেকে যোগ্য যোদ্ধাদের সিরিয়াতে পাঠাল। বাশার আল আসাদের বিরুদ্ধে সর্বপ্রথম FSA –ই ছিল একমাত্র বাহিনী। সকলে সেটিতেই যোগ দান করে। কিন্তু মুজাহিদরা এসে দেখল যে FSA কে মার্কিনরা সহযোগিতা করছে এবং এতে বেশিরভাগ লোকেরাই জাতীয়তাবাদী সেকুলারিস্ট। দিন দিন ইউরোপ এবং পৃথিবীর বিভিন্ন স্থান থেকে মুজাহিদরা এবং মুসলিমরা জিহাদে যোগ দিতে সিরিয়াতে আসছিল। কাইদাতুল জিহাদ সিরিয়াতে অবস্থানরত মুজাহিদদের খিলাফাহ’র লক্ষ্যে ঐক্যবদ্ধ হয়ে জিহাদ চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিল। তখনই মুজাহিদরা FSA থেকে বেরিয়ে দাওলাতুল ইসলামিয়াহর সহযোগিতায় জাবহাতুন নুসরাহ ফ্রন্ট (JN) গঠন করল এর আমীর হলেন জাওলানী (হাফিদাহুল্লাহ)। এই দিকে দাওলাতুল ইসলামিয়াহর ব্যানারেও মুজাহিদরা সিরিয়াতে ঢুকে পড়ল এবং ISIS নামে কার্যক্রম চালাতে শুরু করল। এবং একের পর এক বিজয় ছিনিয়ে আনতে লাগল।

বিশ্বের সকল জিহাদি সংগঠন কাইদাতুল জিহাদের মানহাজ অনুযায়ী চলে এবং এর প্রতি অনুগত। এর মাঝেই দাওলাতুল ইসলামিয়াহর (ISIS) আমীর আবু বকর আল বাগদাদী, জাবহাতুন নুসরাহ’র (JN) আমীর জাওলানীকে প্রস্তাব দিলেন যে, আমাদের নিয়ন্ত্রণকৃত স্থান নিয়ে খিলাফাহ ঘোষণা করে দেই। জাওলানী এই ব্যাপারে সরারসরি রাজি না হয়ে কাইদাতুল জিহাদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কাজ করা পরামর্শ দিল। এরপর আবু বকর আল বাগদাদী যখন কাইদাতুল জিহাদের বা’য়াহ চাইলেন, তখন কাইদাতুল জিহাদ স্পষ্ট জানিয়ে দিল যে মুল্লাহ উমারের কাছে একটি বা’য়াহ ইতোমধ্যে আছে। তবে খিলাফাহ এখনও ঘোষণা করার সময় আসে নি। ইনশা’আল্লাহ সময় আসলে যোগ্য লোককেই সকলে মিলে খলিফার বা’য়াহ দেয়া হবে। এরপরও আবু বকর আল বাগদাদী অন্যান্যদের কাছে বা’য়াহ চাইতে লাগলেন।

দাওলাতুল ইসলামিয়াহ (ISIS) তাদের নিয়ন্ত্রনকৃত স্থানে কঠোরভাবে শরীয়াহ প্রয়োগ করতে লাগল, যে ব্যাপারে কাইদাতুল জিহাদের (AQ) নির্দেশ ছিল যে মৌলিক চাহিদাগুলো পূরণ করা না পর্যন্ত এবং যুদ্ধাবাস্থার প্রেক্ষিতে শরীয়াহর শাস্তি প্রয়োগ আপাতত শিথিল করে শত্রু দমনে বেশি মনোযোগী হতে। কিন্তু দাওলাতুল ইসলামিয়াহ (ISIS) এই নির্দেশ পালন করছিল না। সাধারণ রাফিজী শিয়াদের গণহারে হত্যার ব্যাপারে কাইদাতুল জিহাদের (AQ) নিষেধাজ্ঞা ছিল। ইরাকি বাথ পার্টির সাবেক সদস্য যারা দাওলাতুল ইসলামিয়াহকে (ISIS) বা’য়াহ দিয়েছে, তাদের গুরুত্বপূর্ণ পদ দেয়ায়ও কাইদাতুল জিহাদের আপত্তি ছিল। এই ভাবে বার বার চেইন অব কমান্ড ভঙ্গ এবং শরীয়াহ প্রয়োগের ব্যাপারে জাহিল জনগণের ব্যাপারে কাইদাতুল জিহাদের নির্দেশনার কোনো ধার না ধেরে যখন দাওলার (ISIS) কিছু অন্ধ সমর্থক কাইদাতুল জিহাদের (AQ) নেতাদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ থেকে তাকফির পর্যন্ত করা শুরু করল বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে! তাদের মূল উদ্দেশ্য এমন যে কাইদাতুল জিহাদ আবু বকর আল বাগদাদীকে বা’য়াহ দিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে গোমরাহ হয়ে গিয়েছে।

এত কিছুর পর কাইদাতুল জিহাদ (AQ), দাওলাতুল ইসলামিয়াহর (ISIS) সাথে তাদের সকল সম্পর্ক অফিসিয়ালি ছিন্ন করার ঘোষণা দেয়। যে যার যার মত চলবে, কেউ কাউকে বাঁধা দিবে না। কিন্তু সিরিয়াতে তখন FSA, JN, ISIS বাশার বাহিনী এবং হিজবুল্লাতের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে। এর মধ্যে JN & ISIS কাধে কাধ মিলিয়েই যুদ্ধ করছিল। নতুন আরেকটি গ্রুপ Islamic Front এর আবির্ভাব হয় এর মধ্যে যাদের একটি ফ্রন্টের নাম আরাহার আশ-শাম। এর মধ্যে ISIS, JN এর প্রতি বা’য়াহ ভঙ্গের অভিযোগ তোলে JN-ও ISIS-‘র প্রতি AQ থেকে বায়া’হ ভঙ্গের কথা মনে করিয়ে দেয়। এতে JN ‘র কিছু ফ্রন্ট ISIS-এ যোগদান করে, ISIS থেকেও কিছু JN-এ আসে। FSA থেকেও কিছু ফ্রন্ট ছুটে গিয়ে এদের কাছে আসে। অনেকগুলো ফ্রন্ট স্বাধীনভাবে জিহাদ চালিয়ে যায়। এর মধ্যে IF ‘র একটি ফ্রন্ট আরাহার আশ-শামের সাথে JN ‘র ঘণিষ্ঠ সম্পর্ক থাকে যেহেতু এটির আমীর ছিলেন শায়খ আবু খালিদ আস-সুরী (রহ)।

যখন কাইদাতুল জিহাদ, দাওলাতুল ইসলামিয়াহর থেকে দায়ভার অফিসিয়ালি তুলে নেওয়ার কথা এবং JN –কে সিরিয়াতে AQ ‘র অফিসিয়াল গ্রুপ হিসেবে ঘোষণা করে তখন ISIS, JN ’র কাছে গিয়ে যুদ্ধে অর্জিত গণীমাহ নিয়ে যাওয়া শুরু করল। JN যখন কারণ জিজ্ঞেস করল, ISIS বলল যে এতদিন আমাদের অধীনে থেকে এগুলো অর্জিত হয়েছে, এখন তোমরা আমাদের অধীনে নেই তাই এইগুলো আমাদের। JN ফিতনার আশংকায় গণীমাহ ISIS ‘র কাছে ছেড়ে দিল। ISIS, IF ‘র কাছে গিয়ে একইভাবে গণীনমাহ নিয়ে নেয়া শুরু করল। আরাহার আশ-শাম, JN ‘র পথেই হাটল, কিন্তু IF ‘র অন্যান্য সেকুলার, মডারেট, আহলুস সৌদ ফ্রন্টগুলো গণীমাহ নিতে ISIS কে বাঁধা দিল এবং ISIS –এর উপর আক্রমণ চালালো। এতে ISIS –এর ৪০ জনের মত যোদ্ধাকে হত্যা করা হয়। এখন থেকেই নিজেদের মধ্যে রক্তপাত শুরু। ISIS-ও পরবর্তীতে IF –এর উপর হামলা চালায়। আরাহার আশ-শামের আমীর আবু খালিদ আস-সুরীকে (রহ) তারা হত্যা করা হয়, যিনি কি না AQ ‘র একজন বিশ্বস্ত নেতা ছিলেন। আরাহার আশ-শাম গণীমাহ নিয়ে কোন বাড়াবাড়ি করে নি, তবুও IF ‘র অংশ বলে তাদেরও ISIS ‘র হামলার শিকার হতে হল। আরাহার আশ-শামের সাথে JN ‘র ভালো সম্পর্ক থাকায়, তাদেরো বিভিন্ন সময়ে ISIS হামলার লক্ষ্য বস্তু বানালো। JN-ও বিভিন্ন সময়ে আত্মরক্ষার্থে পাল্টা হামলা চালায়। এভাবে একদিকে বাশার আর আরেকদিকে মালিকীর বিরুদ্ধে যুদ্ধটার লক্ষ্যবিচ্যুত হতে থাকে।

এভাবে চালতে থাকলে আইমান আল জাওয়াহিরী (হাফিদাহুল্লাহ) নিজেদের মধ্যে মারামারি না করে ইমারাহ গঠন এবং নুসাইরী, রাফিজী শত্রুদের ঘায়েলের কাজে মনোনিবেশ করতে বলেন। JN –কে ISIS ‘র বিরোধিতা না করে সিরিয়াতে বাশারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার নির্দেশ দেন এবং ISIS –কে ইরাকে মালিকী সরকারে বিরুদ্ধে নিজেদের অবস্থান শক্ত করার পরামর্শ দেন। কিন্তু ISIS ‘র মুখোপাত্র আদনানী, শায়খ জাওয়াহিরীর বক্তব্যকে অপব্যাখ্যা করে বলেন যে, তিনি না কি কাফিরদের সীমান্তরেখার উপর ভিত্তি করে তাদের দমাতে চাচ্ছেন, অথচ শায়খ জাওয়াহিরী ISIS –কে শুধু ইরাকে থাকার পরামর্শ এজন্য দিয়েছিলেন, যেন নিজেদের মধ্যে রক্তপাত না ঘটে এবং দ্রুত ইরাক কালো পতাকার অধীনে আসে! ISIS –তো শায়খ জাওয়াহিরীর পরামর্শকে গ্রাহ্যই করল না, উপরন্তু অনেকে তাকে এবং AQ –কে বিভ্রান্ত বলতে লাগল। অতি উৎসাহী কেউ কেউ অকথ্য গালিগালাজ সহ, তাকফিরও করতে লাগল। এগুলো খুব দুঃখজনক ঘটনা এবং সময়টা প্রবল ফিতনাময়। সিরিয়াতে ISIS ‘র সাথে JN এবং অন্যান্য ছোট ছোট স্বাধীন হক্ব দলগুলো সাথে মাঝে মধ্যেই রক্তপাত হতে থাকে, কেননা ISIS –কে বা’য়াহ না দেওয়ায় ISIS তাদের শত্রু জ্ঞান করে তাদের উপর গুলি চালায়। ISIS –এর এহেন মনোভাব এবং কাজের কারণে অনেকে আত্মরক্ষার্থ পাল্টা গুলি চালায়, অনেকে তাদের খারেজি ঘোষণা দিয়েই পাল্টা হামলা চালায়। যদিও এখন হক্বদের মধ্যে রক্তপাত বন্ধ হয়েছে, আলহামদুলিল্লাহ।

খিলাফাহ’র বা’য়াহ নেয়া মানে গ্লোবাল জিহাদের নেতৃত্বের ভার কাঁধে তুলে‌ নেয়া। যারা আবু বকর আল বাগদাদী আল হুসেইনী আল কুরাইশীকে এখনই খলিফার বা’য়াহ দেয়ার পক্ষপাতি, তাদের প্রতি একটা দৃঢ় এবং প্রবল প্রশ্ন থেকেই যায় যে, তারা কেন শুধু ওনাকেই এই বর্তমান অবস্থায় কিসের ভিত্তিতে বা’য়াহ দেয়ার পক্ষপাতিত্ব করে? তাদের বেশির ভাগ কথা শুনলেই বুঝা যায় যে, তিনি কুরাইশী এবং একটি ইমারহ’র আমীর এবং চৌকস, শিক্ষিত একজন মুজাহিদ নেতা, তাই তার যোগ্যতা আছে এবং তাকে বা’য়াহ দিয়ে কোনরকমে খিলাফাহ ঘোষণা করে দিলেই উম্মাহ চূড়ান্ত লক্ষ্যে পৌছে গেল, এমন একটা মনোভাব! তাদের মনোভাব পুরোই অযৌক্তিক। গ্লোবাল জিহাদের নেতৃত্বকে গোনায় না ধরে কিভাবে একটি ক্ষুদ্র অংশ খিলাফাহ’র বা’য়াহ চেয়ে নিজেদের মধ্যেই নাম মাত্র খিলাফাহ ঘোষণা করার তোড়জোড় দেখাতে পারে? খিলাফাহ ঘোষণা করলেই তা খিলাফাহ হয়ে যায় না, এতে হক্ব আলেমদের বা’য়াহ জরুরী, সকল মুজাহিদদের বা’য়াহ জরুরী। পর্যাপ্ত স্বাধীন জায়গা ও এর জনগণকে প্রশাসনিক যথেষ্ঠ সুবিধা এবং প্রতিরক্ষা করার সামর্থ্য থাকা জরুরী। এরকম আরো বলা যায়, যা দাওলাতুল ইসলামিয়াহর (ISIS) এখনো নেই। তাদের যা আছে তা হল ইমারাহ এবং তারা এখনো যুদ্ধাবস্থায়। কখন কোন অঞ্চল যুদ্ধের জন্য ছেড়ে দিতে হয় তার ঠিক নেই। তাছাড়া বিশ্ব মুজাহিদদের প্রায় সকলেই AQ ‘র অনুগত, তখন AQ ‘র সমর্থন ছাড়া তারা কিভাবে খিলাফাহ ঘোষণা করবে? AQ ‘র তো তাদের চেয়েও বেশি অঞ্চল নিয়ন্ত্রণে আছে, তাই না?

ফিক্বহী দিক দিয়ে বিচার করলে কেউই অস্বীকার করবে না যে আবু বাকর আল-বাগদাদীর খলিফা হওয়ার যোগ্যতা নেই। অবশ্যই আছে, তবে তিনিই খলিফা হবেন কি না তা দেখা হবে যখন সকলে মিলে খিলাফাহ ঘোষণা করবে। তালিবানরা কি আফগানে ৫ বছর রাষ্ট্র চালায় নি? তাদের বিমান, নৌ, সেনা, পুলিশ সবরকম বাহিনীই ছিল। জনগণও শান্তিতে ছিল। তারপরও তারা ইমারাহ হিসেবেই কার্যক্রম চালাচ্ছিল, খিলাফাহ ঘোষণা করে নি। দাওলাতুল ইসলামিয়াহ কি তালিবানদের চেয়েও বেশি সময় ধরে ইমারাহ সফলতার সাথে চালিয়ে আসছে? বরং তারা এখনো যুদ্ধাবস্থায় আছে। তালিবানরা এখন পর্যন্ত পর্যাপ্ত এলাকা নিয়ন্ত্রণ করে, কিন্তু AQ তো তাদের এখনই খিলাফাহ ঘোষণার নির্দেশ দেয় নি, এমন না যে তাদের মধ্যে যোগ্য কুরাইশ ব্যক্তি নেই। এখনো খিলাফাহ ঘোষণার মত সময় এবং অবস্থায় আমরা পৌছতে পারি নি দেখেই AQ খিলাফাহ ঘোষণার নির্দেশ দিচ্ছে না। এখানে বাগদাদী কুরাইশি আর মুল্লাহ উমার কুরাইশি নন, এটাই মূল ব্যাপার না। মূল ব্যাপার হল দাওলাতুল ইসলাম উচ্চাভিলাষী হয়ে পড়েছে, তাই অগ্রজদের নির্দেশ, উপদেশের কোন তোয়াক্বাই তারা করছে না। উল্টো জাহিলদের মত গালিগালাজ এবং আসাবিয়্যাহ-এ অন্ধ হয়ে AQ নেতাদের গালিগালাজ করছে, অনেকে এমন কি তাকফিরও করেছে!!

বাংলাদেশে জিহাদী মানহাজের সকলেই AQ এবং তালিবানকে চোখ বন্ধ করে ভালোবাসে। ISIS সবচেয়ে বেশি প্রচারণা পেয়েছে এবং তরুণ জিহাদীদের মনে রঙিন জিহাদী ছবি দিয়ে একটি জায়গা দখল করে নিয়েছে। কিন্তু ISIS ‘র রঙিন এই চেহারা পিছনেও আরেকটি মূর্খ এবং অহংকারী চেহারা আছে যা এখানকার অনেক তরুণ জিহাদীরা বুঝতে পারে না। তারা ফেসবুক, টুইটার, ইউটিউব ঘেটেই ISIS ‘র কিছু জাহিল সমর্থকদের কথায় বিভ্রান্ত হয়ে এও পর্যন্ত বলে ফেলেছিল যে জাবাহতুন নুসরার আমীর জাওলানীকে হত্যা করতে হবে!!! এটা খুব বড় ফিতনা। ISIS যে সব হক্ব দলগুলোর উপর হামলা চালায়, তাদের বলে মুনাফিক অথবা কাফির, তখন তারাও যদি ISIS –কে হক্ব ধরে নিয়ে হামলা চালায় তখন সেটা হবে মুসলিম vs মুসলিম যেটার পরিণাম জাহান্নাম। তাই ISIS ‘র সিরিয়ার কিছু ফ্রন্টকে খারেজি আখ্যা দিয়েও হামলা করা হয়েছে অথবা আত্মরক্ষার তাগিদে হামলা করা হয়েছে। ISIS, JN কে বা’য়াহ ভঙ্গের অপবাদ দিয়ে আক্রমণ করার রাস্তা খুজলেও নিজেরাও যে AQ ‘র বা’য়াহ ভঙ্গ করে বসে আছে তার কোন খবর নেই। এখানে কে খলিফা হবেন, তিনি কুরাইশি কি না, এটা মূল বিষয় না। মূল বিষয় হল যারা নেতৃত্বে ছিল, তাদের অবশ্যই কিছু বড় বড় এবং সময়ব্যাপী প্ল্যান ছিল, সেগুলোর নির্দিষ্ট চেইন অব কমান্ডও ছিল! এখন তাদেরই অধীনে কেউ যদি এতসব কার্যক্রমের সম্মান না দিয়ে নিজেই আগ বাড়িয়ে মাতব্বরি করতে যায়, তা কি সমীচীন? এমন না যে বাগদাদ যার দখলে থাকবে তারাই শুধুমাত্র খিলাফাহ ঘোষণা করার অধিকার রাখে! সৌদরা তো দুইটি পবিত্র মসজিদের অধিকারী, তারা খিলাফাহ ঘোষণ করলে কি সকলে মানবে? না শুধু আহলুস সৌদরাই মানবে। তেমনি শায়খ বাগদাদীর যতই যোগ্যতা থাকুক, অন্যান্য জিহাদী ফ্রন্টে এবং হক্ব আলেমদের বা’য়াহ ব্যতীত দাওয়াতুল ইসলামিয়াহর (ISIS) খিলাফাহ ঘোষণা করাটার কোন অর্থই হয় না, এটাকে একটা হুজুগ বলা যায়। যেমন তালিবানরাও পূর্বে খিলাফাহ ঘোষণা করে নি বা এখনও করছে না। দাওলাহ (ISIS) নিজেদের খিলাফাহ ঘোষণার জন্য যে সব যুক্তি দেখায়, সব কিছুই দাওলাহ’র চেয়েও বেশি পরিমাণে ছিল তালিবানদের এবং এখনো আছে।

খলিফা বা আমীর হওয়ার ব্যাপারে যেমন কুরাইশীরাই অগ্রাধিকার পাওয়ার যোগ্য, তেমনি একজন হাবশীকেও যদি খলিফা বা আমীর বানিয়ে দেয়া হয় তার অনুগত্য করতে হবে। এই দুইটিই রাসূলুল্লাহর আদেশ। আমরা একটিকে মানবো আরেকটিকে মানব না, সেট হতে পারে না। মুল্লাহ উমার এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ পদে আছেন গ্লোবাল জিহাদের এই বিষয়ে সকলের অন্তরে গেঁথে নেওয়া উচিত। শুধু আল বাগদাদীই নন আরো অনেকেই খলিফা হওয়ার যোগ্যতা রাখতে পারেন। এটা নির্ধারিত হবে, কাইদাতুল জিহাদ (AQ) যখন খিলাফাহ ঘোষণার জন্য পর্যাপ্ত সুযোগ এবং পরিস্থিতিটা পাবে, তাদের অবশ্যই একট প্ল্যান আছে। এখন তাদেরই হাতে গড়া, তাদেরই ছাত্ররা হঠাৎ যদি নিজেরাই বা’য়াহ চাওয়া শুরু করে তবে তা কি দাড়ালো? তাদের যতই যোগ্যতা আর ক্ষমতা থাকুক, এটা অবশ্যই একটা বাড়াবাড়ি। এখানেই শেষ হলে কথা ছিল কিন্তু ব্যাপারটি ঘোলাটে হয়ে গেল তখন যখন নিজেদের অবস্থান, ঔদ্ধত্য সহীহ প্রমাণ করতে গলিগালাজ, অপবাদ, তাকফীর এবং শেষ পর্যন্ত রক্তপাতে গিয়ে পৌছল ব্যাপারটা......

শয়তানের সবচাইতে সুখের সময় যে যারা সর্বোচ্চ পর্যায়ে কুরবানী করতে গেল তাদের মধ্যেই ভয়ংকর এক ফিতনা ছড়িয়ে দেয়া হল। এটাই বুঝাই যায় যে আবু বকর আল বাগদাদী পুরোপুরি নিজের ইচ্ছায়ই আগ বাড়িয়ে বা’য়াহ চান নি, তাকে অবশ্যই এই ব্যাপারে ফুসলানো হয়েছে যে আপনি বা’য়াহ চান, আল্লাহু আ’লাম! ফিতনার সময়ে নিয়ে হাদীসগুলো ঘাটলেই, ইরাকে অনেক ফিতনা ছড়িয়ে পড়ার পূর্বাভাস দেখা যায়। ISIS এর কিছু সমর্থক, লোকজন আইমান আল জাওয়াহিরীকে বিভ্রান্ত বলেছে, কারণ তিনি মুহাম্মাদ মুরসীকে হয়ত কোন কাজে প্রশংসা করেছেন। তারা মুল্লাহ উমারকে বিভ্রান্ত বলেছে, কেননা তিনি কাতারের শাসকের জন্য দুআ করেছেন। এই যুক্তি ধরে এও তো বলা যায় বাথ পার্টির সাবেকরা ISIS ‘র গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে ISIS কে পুরোপুরি পথভ্রষ্ট করে ফেলেছে। তবে হ্যাঁ, ওই সব সাবেক বার্থিয়ানদের ISIS –এ গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকাটাকে আমরা কেউই সুবিধার চোখে দেখি না।

আবু বকর আল-বাগদাদী যতই যোগ্যতা সম্পন্ন হোক না কেন তিনি এখনও গ্লোবাল জিহাদের প্রধান তো ননই, একমাত্র লোকও নন। অনেক অনেক লোকের রক্তের উপর দাড়িয়ে, কষ্টের উপর দাড়িয়ে এই গ্লোবল জিহাদ এবং ইমারাহগুলো। আল-বাগদাদী শুধুমাত্র একটি ইমারাহ এর আমীর। আশ-শাবাব, আনসারুশশ-শরীয়াহ, TTP –এদেরো আমীর আছে। কিন্তু তালিবানদের আমীর মুল্লাহ উমার একটি বিশেষ অবস্থানে আছেন এখন পর্যন্ত। আপনারাই বলুন, শায়খ উসামার কি মুল্লাহ উমারের চেয়ে কম যোগ্যতা ছিল আমীর হওয়ার ব্যাপারে? আর আমীর না হতে পেরে কি শায়খ উসামার যোগ্যতা, সম্মান, আমল-আখলাক, প্রভাব কমে গিয়েছিল? অবশ্যই না।

আমরা ঢালাও ভাবে মুল্লাহ উমারকে আগামীতে খলিফা হওয়ার ব্যাপারে পক্ষপাতিত্ব করি না বা করব না, এজন্য যে এই ফিতনাতে তার বিপরীত যিনি খলিফা হতে আগ্রহী, তিনি কুরাইশী কিন্তু মুল্লাহ উমার নন। তাই এই ব্যাপারে আমরা চুপ থাকি। আর মুল্লাহ উমার কুরাইশি হলেও আমরা এই ব্যাপারে বাড়াবাড়ি করতে পারতাম না, এই জন্য যে খিলাফাহ ঘোষণা হওয়ার সময় তিনি বেঁচে থাকবেন কি না। আল্লাহু’আলাম।

সবচেয়ে বড় কথা হল এতদিন ধরে যারা নেতৃত্ব দিচ্ছে তাদের অনেক বড় প্ল্যান আছে, রাতারাতি কাউকে নেতৃত্ব এত সহজেই দিয়ে দেয়া যায় না। ভালো কথা আবু বকর আল বাগদাদী খলিফা হতে চান বা তাকে কেউ বানাতে চায়, তার জন্য কি এই সময়টা যৌক্তিক? ইরাকে বর্তমানে ISIS যা করছে, ঠিক এই কাজটি ভালোভাবে করার নির্দেশ ছিল কাইদাতুল জিহাদের (AQ), কিন্তু তারা মাঝেই নিজেদের মধ্যে ফিতনা ছড়িয়ে নিজেদের রক্তের অপচয় করল। মুল্লাহ উমারকে যদি কুরাইশি না হওয়ার দরুণ খলিফা পদ হতে নিস্তার দেয়া হয়, আবু বকর আল-বাগদাদীকেও নেতৃত্ব চেয়ে নেওয়ার কারণে খলিফা পদ হতে নিস্তার হওয়া উচিত বৈকি! কারণ, কুরাইশরা যেমন এই পদ পাওয়ার অগ্রাধিকার রাখে তেমনি যারা নেতৃত্ব চেয়ে নেয়, তাদের নেতৃত্ব দিতে মানা করে গেছেন আমাদের রাসূলুল্লাহ (স)।

এখন সময়টা জিহাদের আর ইমারহ গঠন করে, সেটাকে শক্তিশালী করার। যখন কয়েকটি বিশাল ইমারাহ তাদের শক্তিশালী অবস্থান তৈরী করবে তখন সকলে মিলেই শরীয়াহ সম্মত উপায়ে যোগ্য লোককেই খলিফা হিসেবে মনোনীত করবে, ইনশা’আল্লাহ। তাই যারা ISIS ‘র সাফল্য গাঁথায় AQ –কে বাদ দিতে চান, ISIS –এর ভুলগুলোকে পাশ কাটিয়ে থাকতে চান, তাদেরকে সত্যটা জেনে ফিতনার সময় ইখলাসের সাথে ইখলাসওয়ালাদের সমর্থন দেয়ারই আহবান থাকল।

বিশেষ করে কুফফারদের প্রচারণা দেখলে বুঝা যায় যে তারা চায় যে ISIS –এর বর্তমান কাজে AQ সমর্থন থাকলেও সেটাকে না বলে প্রচার করতে। তাদের মধ্যে কি সমস্যা সেটা তারা জানছে, কিন্তু নতুন যারা জিহাদী হয়েছে তারা যে ISIS –কে সাপোর্ট করতে গিয়ে AQ –কে বাদ দিয়ে দেয়। ISIS –ছাড়া AQ ‘র চলে কিন্তু AQ ছাড়া ISIS ‘র চলবে না, তারা তো AQ ‘র মাধ্যমেই তৈরী। নতুনদের মনে শয়তান অহংকার ঢুকাতে চায়। এতকম সময়ে এত বেশি সাফল্য, এত গণীমাহ, এত গ্ল্যামার দেখে ISIS এবং তাদের কট্টর সমর্থকরা অহংকারী হয়ে যেতে পারে, ঔদ্ধত্বও প্রকাশ করত পারে, এর জন্য কুফফার মিডিয়াগুলো ISIS –কে replacement of AQ হিসেবে প্রকাশ করছে!! ‘Replecement’!! কারণ তারা জানে Devide & Rule! AQ যে –এর সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করেছে তারা তা জানে, তারা চায়ও না যে জোড়া লাগুক। এতে ISIS খিলাফাহ ঘোষণা করলেও তাদের ক্ষতি নেই বরং তা তারা ধ্বংস করে দিতে পারবে। AQ ‘র বিরুদ্ধাচারণ করে ISIS নিজেরাই নিজেদের সহায্যের পথ বন্ধ করে দিতে যাচ্ছে!! আর এতে AQ ‘রও লাভ নেই। ISIS ‘র ক্ষতি হলে AQ ‘র কোন লাভ নেই বরং ক্ষতি। কুফফাররা এটাই চায়। তাই উম্মাহর লাভ হল ISIS ‘র নিজেদে অওকাদে ফিরে যাওয়া।

ISIS -কাফির, তাগুতদের সাথে যা করছে সেসব ব্যাপারে মন সমর্থন আমাদের অবশ্যই দিতে হবে, এটা ঈমানে দাবী। কাফিরদের প্রতি কঠোরতা যেমন ঈমানের দাবী, তেমনি মুমিনদের প্রতি কোমলতাও ঈমানের দাবী। কিন্তু ISIS –এর কিছু সমর্থনকারীরা আবু বকর আল বাগদাদীকে নিয়ে বাড়াবাড়ি করে ফেলেন, আমরা চাই সেটা ব্যক্তিপূজায় না পৌছক এবং আমরাও যেন মুল্লাহ উমারের ক্ষেত্রে এমন না করি। আল বাগদাদীকে আমীরুল মুমিনীন ডাকার অনেক আগে থেকেই মুল্লাহ উমারকে তা ডাকা হয়, আর তিনি যে এখনও সর্বোচ্চ পদে অধিষ্ঠিত আছেন, তা সকলের অন্তরে গেঁথে নেয়ার আহবান থাকল। আল বাগদাদীর যোগ্যতা নিয়ে কোন প্রশ্ন নেই। তার যুদ্ধ কৌশল খুব ভালো দেখেই, আল্লাহর ইচ্ছায়, এত তাড়াতাড়ি সাফল্য পাচ্ছেন। আর ইমাম আনোয়ার আল আওলাকী (রহ) উমার আল-বাগদাদী সম্পর্কে যা বলে গিয়েছেন, কিছু ভাইয়েরা ভুল করে তা আবু বকর আল বাগদাদীর ক্ষেত্রে প্রয়োগ করে। তাই তারা যা বলে তা প্রমাণ সহকারে বলুক। তারা যদি জেনেই বলত, তাহলে তারা নিজ কানেই শুনত যে সেটা ছিলেন উমার আল বাগদাদী (রহ), আবু বকর আল বাগদাদীর ব্যাপারে এই রকম বাড়াবাড়িগুলো আমরা পছন্দ করছি না। তারপর যেমন আমীরুল মুমিনীন ডাকা, দাওলাহকেই (ISIS) খিলাফাহ ঘোষণার একমাত্র লাইসেন্স দিয়ে দেয়ার মত মনোভাব।

মুল্লাহ উমার কে আমীরুল মুমিনীন ডেকেও ISIS –এর হক্ব কাজগুলোর সমর্থন দেয়ার অধিকার আমাদের আছে কিন্তু আবু বকর আল বাগদাদীকে আমিরুল মুমিনীন ডেকে AQ –কে সমর্থন করার কোন যৌক্তিকতা আর থাকে না, কথাটা অন্তরে গেঁথে রাখুন। তাই ব্যাপারটা সকলকেই ভাববার অনুরোধ রইল। কারণ ব্যাপারটা আর ভুল বুঝাবুঝির মধ্যে নেই। রক্তপাত বন্ধ হলেও, সম্পর্ক ঠিক হয় নি। ISIS ‘র ব্র্যান্ডিংও হচ্ছে, এখন তারা আগামীকাল তড়িঘড়ি করে খিলাফাহ ঘোষণা করলে, AQ –তাদের আন্ডারে যাবে না, কারণ তারাই একসময় AQ ‘র আন্ডারে ছিল। তাই তারা যদি আল্লাহ না করুক, খিলাফাহ ঘোষণা করে AQ ‘র রক্তপাত শুরু করে, তারপর আবার কুফফারাও তাদের ঘোষিত খিলাফাহ তে আক্রমণ চালাতে থাকবে, তাদের প্রক্টিক্যালি কারোই সমর্থন, সহযোগিতা থাকবে না, কারণ তারা বিশাল একটা মুমিন সম্প্রদায়ের সাথে কঠোর আচরণ করেছে। তাই সকলেই ভেবে দেখবেন ব্যাপারটা। যারা পর্থিব সাফল্য দেখে AQ আর দাওলাহ’র ব্যাপারে ISIS কে অন্ধ সমর্থন করছেন, তাদের বলব আমাদের তালিবান ভাইদের সাফল্য এর চেয়েও অনেক বেশি আর এই সাফল্যটাই মূল বিষয় নয়।

আমরা চাই ফিতনাটা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব দূর হোক, এটাই দুআ। এই ফিতনাতে যদি কারো অন্তর না কাঁদে, তার অন্তরে রোগ আছে। আর মুজাহিদরা গণীমাহ, ক্ষমতা, গ্ল্যামার এগুলোর জন্য জিহাদ করে না, তারা জিহাদ করে শুধুমাত্র আল্লহর জন্য, এখানে উম্মাহকে বাঁচানো, খিলাফাহ প্রতিষ্ঠা শুধুমাত্র একটি দুনীয়াবী কারণ। এতকিছুর পরও দল হিসেবে তারা সকলেই এখনো মুজাহিদ দল, মুসলিম জামা’আহ। কারো ব্যক্তিগত ব্যাপারটা আল্লাহই ভালো জানেন, আমরা সে ব্যাপারে জেনে গেলেও কথা বলার যোগ্যতা রাখি না। আল্লাহু আ’লাম। আমরা নিজেদের ঈমান শক্তিশালী করব। মুমীনদের মধ্যে মধ্যমপন্থী হব। কাফির এবং মুসলিমদের মধ্যে মধ্যমপন্থী হব না। কাফিরদের প্রতি কঠোর এবং মুমিনদের প্রতি কোমল হব। একটি করব একটি ছাড়বো তা হবে না।

এখানে যত হক্ব কথা লিখেছি, তা আল্লাহর পক্ষ থেকে আর যত ভুল এবং ত্রুটি বিচ্যুতিপূর্ণ কথা লিখেছি তা শয়তান এবং আমার পক্ষ থেকে। আল্লাহ যেন ভুল থেকে মাফ করে এর ফিতনা থেকে রেহাই দেন। আল্লাহ যেন আমাদের
সকলকে মাফ করে দেন এবং তাইফাতুল মানসুরার অন্তর্ভুক্ত করেন। -আমীন।

No comments: